Dhakaiaa Jamdani ফেসবুক পেজে অর্ডার করার পূর্বে কিছু নিয়ম বা তথ্য জেনে নেয়া জরুরী।
১/ ফেসবুকের যে কোন অফার বা খুচরা বা পাইকারি পণ্যের মূল্য শুধু মাত্র ঢাকাইয়া জামদানি অনলাইন ক্রেতাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। ঢাকাইয়া জামদানির অন্য কোন শোরুমে ফেসবুক পেজের অফার বা অনলাইনের মূল্য কার্যকর নয়। লাইভ চলাকালীন অফার শুধু মাত্র লাইভ চলাকালীন সময় পর্যন্ত বা ২৪ ঘন্টার জন্য হয়ে থাকে এবং একটা নিদ্রিষ্ট সময় বলে দেয়া হয়। সব পোষ্ট বা ভিডিও শেয়ার বা ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করলেই আপনি ডিস্কাউন্ট পাবেননা কেননা আপনাকে দেখতে হবে ঐ পোষ্টে লিখা আছে কিনা ডিস্কাউন্টের কথা। অনলাইনের মূল্যে কেনাকাটা করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে যাত্রাবাড়ি শোরুমে এসে বা অনলাইনে অর্ডার করে পণ্য নিতে হবে।
২/ পুরাতন কোন পোষ্টের মূল্য বা স্ক্রিন শট দেখিয়ে পণ্য অর্ডার করা যাবেন।
৩/ পণ্যের গায়ে বা ক্যাপশনে মূল্য ভুল থাকলে এবং সেটা মডারেটর যদি দেখতে পায় ভুল আছে আর ক্রেতাকে সেটা জানিয়ে দেয়া হয় তাহলে সঠিক মূল্য দিয়েই ক্রেতাকে পণ্য কিনে নিতে হবে। আমরা অনেক সময় খুচরা ক্রেতাদেরকে পাইকারি মুল্যে পণ্য দিয়ে থাকি তাই ডিস্কাউন্ট দেয়া হয়না।
৪/ লাইভ করা শাড়ির ভিডিও না দেখে যদি পোষ্ট দেখে শাড়ি অর্ডার করা হয় এবং কালার না মিলে সে ক্ষেত্রে বিক্রেতা দায়ী নয়। আপনি ভাল করে জেনে নিবেন পণ্যের কালার কেমন বা ফেব্রিক্স কেমন।
৫/ ফেসবুকে ম্যাসেজ করার পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে রিপ্লাই পাবার জন্য (তবে দ্রুত অর্ডার কমপ্লিট করার জন্য পণ্যের ছবি ইনবক্স করে মডারেটরদের নাম্বার গুলো পেজে দেয়া আছে ঐ নাম্বারের কোন একটাতে কল করে ক্রেতার আইডি বলে দিলে অর্ডারটি দ্রুত শেষ করে দেয়া হয়)। কেননা আপনার পূর্বে যে সকল ক্রেতা ম্যাসেজ করেছেন ঐ সকল ক্রেতাদেরও উত্তর দিতে হচ্ছে। যিনি প্রথম ম্যাসেজ করেছেন, উত্তরটা প্রথম ক্রেতাই পাবেন। সকাল ১১ঃ৪০ থেকে আমাদের অনলাইন কার্যক্রম শুরু হয় তবে কখনো কখনো সকাল ৫টা থেকেও ম্যাসেজের উত্তর দেয়া হয়। আপনি তখন অনলাইনে এক্টিভ থাকলেও সকাল ৫তায় কল করা যাবে না। রাত্র ১১টা পর্যন্ত আমরা ম্যাসেজের উত্তর দেই এবং ডেলিভারির কাজ শেষ করি। যদি কোন ক্রেতার অর্ডার ঐদিন পাঠানো না যায় বা উত্তর দেয়া না হয়ে থাকে তাহলে দয়া করে অপেক্ষা করতে হবে। উত্তর পেতে কখনো দুই দিন বা তারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস ম্যাসেজ বা কল করে আপনার অর্ডার দ্রুত সম্পন্ন করিয়ে নিতে পারেন। যেহেতু পাইকারি মুল্যে পণ্য বিক্রি করা হয় তাই চাপটা একটু বেশি থাকে।
৬/ ক্রেতা অনালাইনে যখনি অর্ডার কনফার্ম করবেন বা যে মডারেটর এর সাথে কথা বলে অর্ডারটা কমপ্লিট করলেন তখন জেনে নিবেন মডারেটর-এর নাম ও অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বার বা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার। এতে করে আপনি কোন কিছু পরিবর্তন বা এড করতে চাইলে বা আপনার পার্সেল এর বর্তমান অবস্থান কোথায় আছে বা কুরিয়ারে বুক হয়েছে কিনা সব তথ্য ঐ নাম্বারে বা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে কল করে কথা বলে নিলেই সমস্যার সমাধান ধ্রুত পাবেন।
৭/ ঢাকা শহরের বাহিরে থেকে যে সকল ক্রেতা পণ্য অর্ডার করবেন তাহাদের মিনিমাম ৩০০+৫ টাকা অগ্রিম বিকাশ, নগদ বা রকেট সেবার মাধম্যে পরিশোধ করিতে হইবে (আমাদের বিকাশ, নগদ ও রকেট নাম্বার ০১৩২২৯০২৫৬০, বিকাশ ও নগদ ০১৭১১-৪৬১০৮৩)। বিকাশের ক্রেডিট লিমিট অতিক্রম করলে আমরা অন্য কোন নাম্বার ক্রেতাকে জানিয়ে দিব। আপনার পণ্যের মূল্য যদি ৩০০০টাকার বেশি হয় তাহলে ৫০০+১০ টাকা থেকে ২০০০+৪০টাকা বা তারও বেশি বিকাশ করতে বলবে বিকাশ খরচ সহ। পণ্যের বাকি টাকা ডেলিভারি চার্জের সাথে এড হয়ে যাবে এবং পাশাপাশি একটা ভিডি চার্জ এড হবে। পাঠাও প্রতি ১০০০ টাকায় ১০টাকা করে নিয়ে থাকে। এস পরিবহন প্রতি ১০০০টাকায় ৩০টাকা ভিডি চার্জ নিয়ে থাকে। সুন্দরবন কুরিয়ার প্রথম ১০০০ টাকায় ২০টাকা আর এরপর ১০০০ বা ৫০০ যাই আসবে ১০টাকা করে ভিডি চার্জ নিয়ে থাকে। অন্য সবাই ভিডি চার্জ না নিলেও যেহেতু আমরা পাইকারি মুল্যে বা পাইকারি মূল্যে থেকে একটু বেশি মূল্য নিয়ে পণ্য বিক্রি করি তাই ভিডি চার্জ এবং বিকাশ খরচ ক্রেতাকেই দিতে হবে।
৮/ ঢাকার বাহিরে যে কোন পণ্য, ক্রেতাকে নিজ দায়িত্তে এস-এ পারিবহন বা সুন্দরবন বা যে কোন কুরিয়ার সার্ভিস ব্রাঞ্চ অফিস থেকে বুঝে নিতে হবে। কুরিয়ার অফিস কখনো কল করে বা ম্যাসেজ পাঠাবে আবার কখনো পাঠায় না। পণ্য পাঠানোর দায়িত্ত আমাদের কিন্তু বুজে নেবার দায়িত্ত ক্রেতার। শুধু ঢাকার বাহিরে নয়, ঢাকার ভিতরেও আপনি ডেলিভারিম্যান থেকে শাড়ি নেবার সময় শাড়ি চেক করে বুঝে নিবেন। ডেলিভারিম্যান থাকা অবস্থায় পণ্য বা শাড়ি চেক করে আপনার কাছে ভাল মানের মনে না হলে ডেলিভারিম্যানকে তার ডেলিভারি চার্জ দিয়ে শাড়ি ফিরিয়ে দিবেন। শাড়ি যদি কাটা ছেড়া থাকে তাহলে শাড়ি রিটার্ন করবেন সাথে সাথেই। ডেলিভারিম্যান ফিরে আসলে বা ১-২ দিন পর বলবেন যে শাড়ি ভাল না, ছিড়া, সমস্যা ফেরত নিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু সেটা বলা যাবেনা। আপনাকে ডেলিভারিম্যান থাকা অবস্থাতেই শাড়ি চেক করে বুঝে নিতে হবে। জামদানি শাড়ির কোন পরিবর্তন হয় না। ডেলিভারিম্যানকে বাসার নিচে দাড় করিয়ে আপনি উপরে গিয়ে শাড়ি/পণ্য যেমন ইচ্ছে খুলে ভাজ নষ্ট করে নিয়ে এসে ফেরত দেয়া যাবেনা।পণ্যের কালার ভাল না হলে বা মনের মত না হলে সেটা নিচে দাঁড়িয়ে দেখেই ফেরত দেয়া যায় বা দিতে হবে।
৯/ পরিবহণ সার্ভিসের নিজেস্য সমস্যা বা হরতাল/ ট্র্যাফিক জ্যামের কারনে পণ্য সঠিক সময় পৌছুবেনা এটাই স্বাভাবিক এবং মেনে নিতে হবে কারন এখানে বিক্রেতার কোন হাত নেই। যদি আপনি পার্সেল না পান তাহলে আমরা অবশ্যই সেটা বিবেচনা করবো এবং পার্সেল প্রয়োজনে আবার পাঠাবো।
১০/ অতীব জরুরী যেই বিষয় সেটা হল, পণ্যের ছবির সাথে বাস্তবের ১০০% মিল নাও থাকতে পারে কারন DSLR Camera বা iphone-12max আর আমাদের চোখের ক্ষমতা এক না। DSLR Camera বা Mobile Set Camera দিয়ে ছবি তুল্লে সেখানে রং এর পার্থক্য থাকতে পারে। এমনকি iphone-XII দিয়ে ছবি তোলার পর Samsung, Sony, Walton, LG, Vivo, iPhone বা One+ মোবাইলের মনিটরে কিছুটা ভিন্য কালার দেখাবে এবং দেখায়। প্রয়োজনে আপনি যাচাই করে দেখতে পারেন।
১১/ লাইভে দেখানো পণ্যের কালার আমার সবসময় লাইভ চলাকালীন সময়েই বলে দেই বা কোন কালারের নাম না জানলেও সেটা বলি এটা কি কালার জানা নেই তবে কারো এই কালার দেখে ভাল লাগলে আপনি কিনতে পারেন। লাইভ শেষে ছবি পোষ্ট করা হয়ে থাকে অনেক সময় আবার লাইভের পূর্বে ও ছবি পোষ্ট করে থাকি এবং কোন ক্রেতা যদি পণ্য অর্ডার করেন তাহলে জেনে নিবেন সঠিক কালার কি ছিল বা দেখাচ্ছে ? শাড়ি/পণ্য ফেরত দিতে চাইলে যেই প্রক্রিয়াতে ক্রেতা টাকা পাঠিয়েছেন ঠিক সেই ভাবেই বিক্রেতা টাকা ফেরত দিবেন অথবা ক্রেতা বিক্রেতার উভয়ে যেটা ভাল মনে করবেন ঐ ভাবেও টাকা ফেরত দেয়া যাবে এবং সব ধরনের খরচ ক্রেতাকেই বহন করতে হবে। শাড়ি অর্ডার কনফার্ম করার পূর্বে জেনে নিবেন শাড়ির/পণ্যের কালার কি। শাড়ি/পণ্যের কালার কি ১৯/২০ নাকি ১৮/২০ নাকি খারাপ বা বেশি সুন্দর নিজ দায়িত্তে জেনে নিবেন। ডেলিভারির খরচ বা ফেরত পাঠানোর খরচ ক্রেতাকে বহন করতে হবে। তবে পণ্য যদি ছিড়া বা ফাসা থাকে তাহলে আসা যাওয়ার খরচ বিক্রেতা বহন করবে। শাড়ির কালার মিলছেনা তার ফেরত দিচ্ছেন তখনো ক্রেতাকেই ডেলিভারি চার্জ ক্রেতাকেই বহন করতে হবে।
১২/ দেশের বাহিরে পণ্য পাঠানো হলে এবং ক্রেতা সেটা ফেরত দিতে চাইলে ডেলিভারি চার্জ উভয় ক্ষেত্রে ক্রেতাকেই বহন করতে হবে তবে জামদানি শাড়ি হলে সেটা ফেরত দেয়া যাবে না বা ফেরত নেয়া হবে না।
১৩/ ব্যবহার করা বা ভাঁজ নষ্ট করা শাড়ি/পণ্য পরিবর্তন করে দেয়া হবে না (জামদানি শাড়ি ঢাকার বাহিরে পাঠানো হলে আপনার পছন্দ না হলেও সেটা পরিবর্তন করা হবেনা)। তাই অর্ডার করার পূর্বে অনেকবার ভেবে এরপর অর্ডার করুন। জামদানি শাড়ি তাঁতি যেমন বানিয়ে দিয়ে যায় তেমনি বিক্রি করা হয়। জাদানি শাড়িতে সুতা কিছুটা এদিক সেদিক হয়ে যায় বা সময়ে সময় সুতা উপরে চলে আসে। হাতের বা তাতের তৈরি যে কোন পণ্যে আপনার সুতার জোড়া থাকতে পাড়ে বা বুটি/গুটির মত দেখায় বা সুতা একটার উপর একটা উঠে যেতে পারে। ঐ ধরনের কোন পণ্য না নিতে চাইলে আমাদের পেজে অর্ডার না করাই ভাল কারন আমরা জানি যে হাতের তৈরি পণ্য এমন ভাবেই তাঁতিরা বানিয়ে থাকেন।
১৪/ আমাদের দোকানের মানি রিসিপ্ট কপি দেখাতে ব্যর্থ হলে শাড়ি/পণ্য পরিবর্তন করা হবে না। এবং জামদানি ব্যতীত অন্য সব পণ্য ৭ দিনের মধ্যে পরিবর্তন করে নিতে হবে।
১৫/ সব প্রডাক্টের ছবি আমাদের নিজের হাতে তোলা, তাই কারো আর রিয়েল ছবি চেয়ে কস্ট করতে হবে না। বার বার রিয়েল ছবি চেয়েও লজ্জা দিবেন না আশা করি, কারন ছবি যেখানে রিয়েল কালার আসবে আমরা সেটা মাথায় রেখেই ছবি দেই। আর ছবি কাছাকাছি না আসলেও আমরা সেটা বলে দেই।
১৬/ পণ্যের পুরো ছবি বা খুলে ছবি চাওয়ার ও দরকার নেই, কারন ছবিগুলো এমন ভাবেই তোলা যেনো পুরো শাড়িটা বা পণ্যের ডিটেইলস দেখা যায় এবং সেই সাথে আমরা শাড়ির/পণ্যের আলাদা আলাদা অংশের ছবিও দিয়ে থাকি আপনাদের সুবিধার্থে।
১৭/ ঢাকাতে ক্যাশ অন ডেলিভারি চার্জ ১ থেকে ৩টা পণ্য ১০০ টাকা, ৪ থেকে ৭টা পণ্য ১৫০ টাকা, ৮ থেকে ১২টা পণ্য ২০০টাকা। ২০/৫০টা পণ্য নিতে চাইলে ক্রেতা বিক্রেতা কথা বলে নিতে পারেন ডেলিভারি খরচ নিয়ে। ঢাকা সিটিতে রেডেক্স কুরিয়ারে বা পাঠাও কুরিয়ারে পণ্য ডেলিভারি নিতে গেলে ক্রেতাকে মিনিমাম ১০০ টাকা অগ্রিম বিকাশ করতে হবে। কুরিয়ার অফিস আপনার মোবাইলে ৩/৪ বার ট্রাই করে না পেলে তখন পণ্য ফেরত আসবে এবং ঐ পণ্য আবার অর্ডার করতে চাইলে আপনাকে আবারো অগ্রিম দিয়ে নিতে হবে। প্রথম ১ কেজি ডেলিভারি চার্জ ৬০ টাকা তবে ফেরত আসলে সেই ফেরতের খরচ ৪০টাকা। টোটাল ১০০ টাকা।
১৮/ ঢাকার বাইরে উপজেলায় হলে পণ্যের মূল্য, ডেলিভারি খরচ এবং বিকাশ চার্জসহ সব টাকা আগে বিকাশ করতে হবে। সুন্দরবন, জননী, করোতয়া, রেড-এক্স বা এস এ পরিবহন পণ্য পাঠানোর পূর্বে ৩০০+৫ টাকা থেকে ৫০০০+১০০ টাকা বিকাশের খরচ সহ এডভান্স নেই। ঢাকা সদরের বাহিরে ডেলিভারি টাইম ১ থেকে ৭ দিন এবং কখনো কখনো সেটা ১৫ দিন সময় লেগে যেতে পারে। এস এ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসে এখন পণ্য পাঠাতে মিনিমাম ডেলিভারি চার্জ ১৫০ টাকা এবং সাথে ভিডি চার্জ আছে। সুন্দরবন কুরিয়ার ১৩০ টাকা এবং ভিডি চার্জ দিতে হবে। রেডেক্স ও পাঠাও ঢাকার বাহিরে ১ম কেজির জন্য ১৩০ টাকা এবং ২য় কেজি থেকে ৩০ টাকা করে চার্জ ধরা হয় এবং ভিডি চার্জ আলাদা। আপনার পণ্যের ওজন ১কেজি ১০০ গ্রাম হলেও সেটা ২কেজি ধরা হবে এবং ১৩০+৩০=১৬০ টাকা। আপনি পণ্য রিসিভ না করলেও কিন্তু পণ্য ফেরত আসার জন্য অর্ধেক টাকা কেটে রাখে। ধরুন আপনার পার্সেলের ওজন ১কেজি। তাহলে ১৩০ টাকা। ফেরত আসলে ৬৫ টাকা। তাহলে মোট হল ১৩০+৬৫=১৯৫ টাকা। যদি ৩০০ টাকা যাবার খরচ হয় তাহলে ফেরতের খরচ ১৫০। ৩০০+১৫০=৪৫০ টাকা। আপনার থেকে ৩০০/৫০০ টাকা অগ্রিম নেয়া হলে যা খরচ হবে সেটা বাদ দিয়ে বাকি যেটা থাকবে ঐটা আপনাকে ফেরত দেয়া হবে।
১৯/ কোন কারনে ক্রেতা বিকাশে অগ্রিম পে করেছেন কিন্তু পণ্য পাননি তাহলে অবশ্যই ৩ মাসের মধ্যে টাকা ফেরত নিয়ে নিবেন বা অন্য কোন পণ্য পছন্দ হলে নিয়ে নিতে পারেন। বিকাশ বা আমাদের অগ্রিম টাকা কে কে পে করেছেন সেই খাতা ৩মাস পর পরিবর্তন করা হয়। যদি কোন কারনে আপনি নিতে ব্যার্থ হোন তাহলে দেখা যাচ্ছে আপনি টাকা পেতে সমস্যা হবে কারন আমাদের কাছে প্রমান থাকছেনা ৩মাসের পর। তাই অনুরোধ থাকবে সঠিক সময় পণ্য না পেলে টাকাটা ফিরিয়ে নিবেন।
২০/ ঢাকা সিটির ভিতরে ডেলিভারি করার ক্ষেত্রে, প্রোডাক্ট ডেলিভারি ম্যান এর সামনে চেক করে নেয়া বাধ্যতামূলক, কোনো সমস্যা হলে ডেলিভারি ম্যান এর সামনে কল দিতে হবে। ডেলিভারি ম্যান চলে আসার পর অভিযোগ করলে সেটা সমাধান করা সম্ভব না। উপরে ৮ নাম্বার পয়েন্টেও এই ব্যপারে বলা হয়েছে।
২১/ পণ্য বুক করে রাখার কোন অপশন নেই তবে ক্রেতা ইচ্ছে করলে অগ্রীম টাকা দিয়ে কিছু দিনের জন্য পণ্য বুক রাখতে পারবেন আর বেঁধে দেয়া সময় অতিক্রম করলে আপনি টাকা বা পণ্য কিছুই ফেরত পাবেন না। তাই, পণ্য বুক করার পূর্বে ভাল করে বুঝে শুনে বুক করবেন। বুক করা পণ্য থেকে ৫/১০ দিন পর কোন প্রকার পণ্য পরিবর্তন করা যাবে না তবে আপনি এড করতে পারবেন।
২২/ ক্রেতা পাইকারিতে পণ্য কিনে নিক বা খুচরা মুল্যে, যে কোন প্রকার ডেলিভারি খরচ ক্রেতাকে বহন করতে হবে। ঢাকার বাহিরে হলে ভিডি চার্জ ক্রেতাকে দিতে হবে
২৩/ অফার থেকে পণ্য অর্ডার করলে সেই পণ্য ক্রেতার কাছে ডেলিভারি হলে বা রিসিভ করার পর, কোন প্রকার পরিবর্তন বা রিটার্ন হবেনা। তাই অফারের পণ্য কেনার সময় ১০০% সতর্ক থাকতে হবে। আপনি চাইলে শোরুমে এসে দেখে পসন্দ করে কিনে নিতে পারেন।
২৪/ সকাল, দুপর ৪/৫ ঘন্টা সময় নিয়ে অর্ডার কনফার্ম করার পর রাত ১২টায় বা ২টা সময় ম্যাসেজ দিলেন ক্যান্সেল এমন অর্ডার থেকে বিরত থাকবেন এবং সে জন্য ডেলিভারি চার্জ আপনাকেই দিতে হবে। কারন, ডেলিভারি ম্যান যখন আপনার বাসার সামনে গিয়ে কল করবেন তখন তাকে বলা হয় অর্ডার ক্যান্সেল, এটা করা যাবে না। শুধু তাই নয়, অর্ডার কনফার্ম করার পর আর রিসিপ্ট কপি দেবার পর পণ্য পরিবর্তন করে অন্য কোন পণ্য নিতে চাইলেও সেটা গ্রহনযোগ্য নয়। রিসিপ্ট কপি দেবার পর সেখানে আপনার নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার ঠিক আছে কিনা সেটা চেক করে আমাদের দ্রুত জানাবেন। যে কোন পণ্য অর্ডার করবেন চিন্তা ভাবনা করেই অর্ডার করবেন। আপনাকে পণ্য দেবার সময় অন্য অনেক ক্রেতাকে হয়তো বলা হচ্ছে পণ্য ষ্টক আউট। কিন্তু আপনি সব কিছু ঠিক করার অনেক সময় চলে যাবার পর বলবেন এটা নিচ্ছিনা এমন কিছু বলা থেকে বিরত থাকুন।
২৫/ ক্রেতা যখন শোরুমে এসে পাইকারিতে পণ্য কিনতে চাচ্ছেন তখন মনে রাখতে হবে আপনাকে প্রতি পণ্যের সাথে ব্যাগ দেয়া হবে না। প্রতি পণ্যের সাথে ব্যাগ তখনি দেয়া হবে যখন আপনি খুচরা মুল্যে পণ্য কিনে নিবেন। পাইকারিতে নেবার সময় আপনাকে বড় একটা ব্যাগ দেয়া হবে যেই ব্যাগে কম করে হলেও ১০/২০টা শাড়ি বা থ্রি-পিছ বা পণ্য ধরবে।
ক্রেতা পণ্য অর্ডার করার পূর্বে আমাদের নিয়ম জেনে এবং মেনেই পণ্য অর্ডার করছেন এটাই ঢাকাইয়া জামদানি বিবেচনা করে থাকেন।
অভিযোগ জানাতে কল করুন বা হোয়াটসঅ্যাপ করুন 0088-01711461083 / 01511100007
যেনে রাখা ভালঃ
অনলাইনে অর্ডার করার সময় যে বিষয় গুলো আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, তার মধ্যে আপনি শাড়ি বা পণ্য কি ভাবে অর্ডার করছেন বা কি ভাবে বিক্রেতা পাঠাচ্ছেন।
১/ ক্যাশ অন ডেলিভারি/ কন্ডিশন, ২/ হোম ডেলিভারি,
ক্যাশ অন ডেলিভারি/ কন্ডিশন
এস এ পরিবহন কুরিয়া সার্ভিস/ রেডেক্স কুরিয়ার/ করতোয়া কুরিয়ার/ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের এর মাধ্যমে পণ্য পাঠানো হলে সেটা কন্ডিশনে পাঠানো হয়ে থাকে (আপনি টাকা অগ্রিম পরিশোধ করলে কন্ডিশন আসবেনা)। আপনি যখন শাড়ি রিসিভ করতে যাবেন এস এ পরিবহন কুরিয়া সার্ভিস/রেডেক্স কুরিয়ার/ করতোয়া কুরিয়ার/ সুন্দরবন কুরিয়ার পরিবহন ব্রাঞ্চে, তখন আপনাকে প্রথমেই টাকা জমা করতে হবে সেখানে এবং কুরিয়ার সার্ভিস কতৃপক্ষ আপনাকে আপনার পণ্যের ব্যগটা বুঝিয়ে দিবেন।
আপনি পণ্য হাতে পাবার পর সেখানেই খুলেই পণ্য কেমন হল সেটা বিক্রেতাকে জানিয়ে দিলেন। যদি পছন্দ না হয় তাহলে রিটার্ন করে দিবেন। (এখানে মনে রাখতে হবে সব পণ্যের জন্য রিটার্ন পলিসি আছে কিনা)।
আপনি যখন শাড়ি/পণ্য ফেরত দিবেন তখন কিন্তু আপনি যত টাকা জমা দিয়ে শাড়ি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে তুলেছিলেন ঠিক সমপরিমাণ টাকা কিন্তু আপনি পাবেননা। কারন, পরিবহন খরচ হল ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা বা যাই আসুক, প্রতি হাজারে ২০ টাকা পরিবহন অফিস কেটে রাখেন। ১০০ থেকে ১০০০ টাকা হল পার্সেল পাঠানোর খরচ, আর ১৫% বা ২০% হল টাকা পাঠানোর খরচ। দুইটা আলাদা ব্যপার।
আপনাকে ফ্রি ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে মানে এই নয় যে বিক্রেতা ফ্রি ফ্রি পরিবহন অফিস থেকে পার্সেল পাঠাচ্ছেন। ১০০ টাকা এস এ পরিবহন আর সুন্দরবন হলেতো ১৪০ বা ১৫০ টাকা আর এক্সট্রা ভ্যাটতো আছেই। আপনি শাড়ি ফেরত না দিলে বিক্রেতার প্রফিট থেকে পরিবহন চার্জ কেটে গেল, কিন্তু আপনি পণ্য ফেরত দিলে সেটা আপনার থেকে পরিবহন খরচ যাবে। আপনি যদি ভাবেন যে আমি কেন টাকা দিব? তাহলে এটা মনে রাখতে হবে আপনার অনলাইন থেকে কেনা কাটা করা উচিত না। আপনি শপিং মলে গিয়ে ১০/১৫ টা দোকান দেখে কিনেতে পারেন। সেখানে যেতে ১০ টাকা খরচ হলেও সেটা আপনার আর খরচ না হলেও সেটা আপনার। আর যদি না কিনেন ১০টা দোকান ঘুরে সেটাও আপনার ব্যপার।
অনলাইন হল বিশ্বাসের উপর। এখানে আপনি লাভবান হতে পারেন আবার নাও হতে পারেন।
হোম ডেলিভারি
হোম ডেলিভারি বিষয়টা একটু আলাদা আর সেটা সব জায়গায় হয়না। তবে বড় বড় ই-কমার্স সাইট গুলো প্রতি জেলা বা উপজেলায় হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছেন। ডেলিভারি ম্যান আপনার বাসায় বা অফিসে পার্সেল নিয়ে আসবেন। আপনার পণ্য পছন্দ হলে রেখে দিচ্ছেন আর পছন্দ না হলে সেটা ফেরত দিচ্ছেন। এখানেও আপনাকে ১০০ টাকা বা ৫০/৭০ টাকা ডেলিভারি চার্জ দিয়ে দিতে হবে। কেউ নিচ্ছে, কেউ নিচ্ছে না। তবে সবাই নিয়ে নিচ্ছেন। আমাদের ডেলিভারি হল ঢাকা শহরের মূল অংশটুকু। যেমন কেরানীগঞ্জ থেকে উত্তরা, ঢাকা-চিটাগং রোড থেকে মিরপুর, বনশ্রী, কুড়িল। দোহার নবাবগঞ্জ হোম ডেলিভারি দেয়া হয়না। ঢাকা সিটির বাহিরে রেডেক্স কুরিয়ারের মাধম্যে এখন হোম ডেলিভারি শুরু করেছি আমরা।
আপনি অনলাইনে অর্ডার করলে অনেক বিক্রেতা ডেলিভারি চার্জ অগ্রিম নিয়ে থাকেন বিকাশের মাধ্যমে অথবা মোবাইলে ফেক্সি লোড করার মাধ্যমে। আমরা অনেকেই মনে করতে পারি ১০০ টাকা বা ২০০ টাকা দেবার পর যদি পণ্য না আসলো? হ্যাঁ, আপনার ভাবনাটা ঠিক আছে। কিন্তু একজন ভাল ব্যবসায়ী কখনো সেটা করবেন না। কারন আপনার ১০০ টাকার জন্য ওনার ব্যবসার সুনাম কখনোই নষ্ট করতে চাইবেনা। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে বা ঘটে থাকে তাহলে কমপ্লেইন করতে পারেন ঐ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অথবা আপনি অনলাইন পেজের রিভিউতে গিয়ে যা ঘটেছে তা লিখে আসলে অনেক ক্রেতার চোখে পরবে সেটা। আপনি আপনার টাকা ফেরত পাবেন বা পণ্য পাবেন আশা করি। যদি টাকা ফেরত নাও পান মনে রাখবেন ঐ প্রতিষ্ঠানের একটা দুর্নাম হয়ে গেল আর অনেকেই জেনে গেল।
ক্রেতা ও বিক্রেতার উদ্দেশ্য সৎ থাকতে হবে, কেনার মন মানসিকতা থাকতে হবে, ভাল পণ্য পাঠানোর মন-মানসিকতা থাকতে হবে । আপনি অর্ডার কনফার্ম করলেই শাড়ি পাঠানো হবে। কেউ ৩০০ টাকা অগ্রিম নিয়ে, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করে ৩০০ টাকা আগ্রিম না নিয়েই শাড়ি পাঠাবে। শাড়ি পাঠানোর পড়ে যদি আপনি রিসিভ না করেন তাহলে সেটা খুব খারাপ। আপনি যখন ৩০০ টাকা অগ্রিম দেবার পরেও শাড়ি রিসিভ করবেননা তখন বিক্রেতার লস হয়নি কিন্তু পণ্য পরে থাকলে দিনের পর দিন পরিবহন সার্ভিসের স্টোরে তখন সেটা ক্ষতি। আবার যিনি বিশ্বাস করে ৩০০ টাকা অগ্রিম না নিয়ে আপনার বরাবর পণ্য পরিবহনে নিজের পকেট থেকে৩০০ টাকা খরচ করে পণ্য পাঠালো তার কিন্তু ক্ষতি হল সব দিক থেকেই। কারন, ১৩০/১৫০ টাকা তার নিজের পকেট থেকে খরচ হয়েছে আর রিটার আসলেও সুন্দরবন আবার চার্জ কেটে নেয়। যদি মাসে ৫০ টা অর্ডার পড়ে আর ১০ জন শাড়ি রিসিভ করলোনা, তারপরেও ১০০০ টাকার বেশি ক্ষতি। বিষয়টা ভেবে দেখবেন।
অর্ডার করতে কল করুন বা হোয়াটসঅ্যাপ করুন ০১৩২২৯০২৫৪০, ০১৩২২৯০২৫৪১, ০১৩২২৯০২৫৪২, ০১৩২২৯০২৫৪৩, ০১৩২২৯০২৫৪৪, ০১৩২২৯০২৫৪৫, ০১৩২২৯০২৫৪৬, ০১৩২২৯০২৫৪৭, ০১৩২২৯০২৫৪৮ ০১৩২২৯০২৫৪৯ এই নাম্ববার গুলোতে অথবা আমাদের Dhakaiaajamdani ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ করুন। http://www.facebook.com/dhakaiaajamdani
অভিযোগ জানাতে কল করুন: 0088-01711461083 , 0088-01770203804 বা মেইল করুন [email protected]
Our websites are:
www.dhakaiaajamdani.com
www.dhakaiyajamdani.com
www.জামদানি.com
বিঃদ্রঃ পেইজের সুবিধার্থে যে কোন নিয়ম পরিবর্তন হতে পারে।